মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সর্বশেষ
শারিরীকভাবে অসুস্থ আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামানায়, প্রবাসী নোয়াখালী জেলা বিএনপি সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল এর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় রিয়াদে প্রবাসী লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির খতমে কোর আন ওদোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের সাথে সৌদি আরব পূর্বাঞ্চল সাংবাদিক ফোরামের মত বিনিময় অনুষ্ঠিত
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সাথে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রিয়াদের সুযাইদীতে বাংলাদেশী নতুন প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর সুপার মার্কেটের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত
কুমিল্লায় সাংবাদিক রুস্তম খানের উপর সন্ত্রাসী হামলা
পিআরসহ নানা দাবিতে অস্থিরতার পাঁয়তারা করছে একটি মহল : মির্জা ফখরুল
বিশ্বাস সততা আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করা যায়, টোকিও সেট গ্রুপ অফ কোম্পানির ৩৩ তম বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন :ফারুক আহমেদ চান, মধ্যপ্রাচ্য ইনচার্জ!
কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ-সৌদি আরব চুক্তি স্বাক্ষর
সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের পক্ষ থেকে এসপিএলের উদ্যোক্তা মিঠুকে সংবর্ধনা

নতুন বিশ্ব গড়ার কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণদের রাখার আহ্বান ড. ইউনূসের

টেকসই ভবিষ্যত বিনির্মাণ ও নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে গ্লোবাল সাউথের কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণ ও ছাত্রদের রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, তরুণরা নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।তিনি গ্লোবাল সাউথ নেতাদের উদ্দেশ বলেন, ‘আমাদের কৌশলগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্যই তরুণ ও ছাত্রদের রাখতে হবে, যারা গ্লোবাল সাউথের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ। আমাদের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ এবং তারা সমাজের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ।
’শনিবার (১৭ আগস্ট) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘থার্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট-২০২৪’-এর ইনগরাল লিডার্স অধিবেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন। তিনি ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যুক্ত হন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটিই ড. ইউনূসের প্রথম বহুপক্ষীয় কোনো অনুষ্ঠানে যোগদান।
আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়া ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ গ্লোবাল সাউথের অন্তর্ভুক্ত।
মূলত এসব দেশে মাথাপিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় কম।প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের তরুণদের প্রশংসা করে বলেন, বীর ছাত্রদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয় বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। আর জনগণের যোগদানের মাধ্যমে এই বিপ্লব গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, যার ফলস্বরূপ গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করে।উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং এর মাধ্যমে তার ১৫ বছরের দীর্ঘ শাসনের অবসান হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বৈপ্লবিক পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে তরুণরা আন্দোলন করেছে এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা দেশবাসীকে প্রভাবিত করেছে। এখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে অর্থবহ সংস্কার জরুরি, যার মাধ্যমে ভঙ্গুর হয়ে পড়া রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে পুনরুদ্ধার করা হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুত্ববাদী গণতন্ত্রে উত্তরণ এবং একটি পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; যার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে নানা পরিবর্তন ঘটছে উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্লোবাল সাউথের নেতাদের ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, তরুণ ছাত্র এবং ১২-১৩ বছর বয়সী শিশুরা ৪০০ বছরের পুরনো এই শহরের দেয়ালে একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ছবি আঁকছে। এর জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা নির্দেশনা তাদের ওপর নেই।

কারো পক্ষ থেকে বাজেট সমর্থনও নেই। এটি দ্বিতীয় বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষার প্রতি তাদের আবেগ ও অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের দেয়ালের লেখা পড়ে যে কেউ বুঝবেন, তারা কী স্বপ্ন দেখছে। তরুণদের স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের প্রধান কাজ বলে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বব্যাপী তরুণরা আলাদা, তারা সক্ষম এবং প্রযুক্তিগতভাবে আগের প্রজন্মের তুলনায় অনেক এগিয়ে। তিনি বলেন, তারা সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। তারা উদ্যোক্তা। কিন্তু তারা চাকরি চায়, কারণ দেশে দেশে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে, যা তাদের চাকরির জন্য প্রস্তুত করে। অথচ সব মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা রয়েছে।কেবল চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে এমন শিক্ষা ও আর্থিক ব্যবস্থা নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।

তৃতীয়বারের মতো গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত। এবারের সম্মেলনে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানদের নিয়ে উদ্বোধনী অধিবেশনের প্রতিপাদ্য এবং মূল সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো : অ্যান এমপাওয়ারড গ্লোবাল সাউথ ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার’।

রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান পর্যায়ে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ভারত ২০২৩ সালের ১২ ও ১৩ জানুয়ারি প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট (ভিওজিএসএস) এবং একই বছরের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের আয়োজন করেছিল। দুটি সামিটই ভার্চ্যুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করা হয়।

শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ববর্তী উভয় আয়োজনে গ্লোবাল সাউথ থেকে শতাধিক দেশ অংশ নিয়েছিল।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১